২০০১ সালে এ কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কলেজের নিজস্ব জমির উপর বহুতল ভবন, ভাল অবস্থান, ভাল লেখাপড়া, শিক্ষার নীতিনিয়ম পালন, পরিপূর্ণ বিজ্ঞানাগার, সুযোগ্য শিক্ষকমন্ডলী এবং সর্বোপরি আশাতীত ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হওয়ায় কলেজটি প্রথম বছরেই সরকারি অনুমোদন পেয়ে সর্বমহলের সুদৃষ্টি লাভ করেছে। রেজিস্টার অফ জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ এন্ড ফার্মস, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কৃর্তক রেজিস্ট্রিকৃত মিছির আলি খান ফাউন্ডেশন রেজিস্ট্রেশন নং এস-৫৫৬৭ (৬৮৪/০৬)- এর অধীনে এ প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হচ্ছে।
বিসিক শিল্পনগরীর পূর্বপাশে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের অদূরে কলেজটির অবস্থান। কোনাবাড়ী এখন বিশাল এক শিল্পনগরী। এখানে রয়েছে হাজারো শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং কেন্দ্রীয় কারাগারসহ বহু সামাজিক প্রতিষ্ঠান। দিবারাত্র মানুষের কলকোলাহলে মুখরিত এ নগরী। চার লেন রোড এবং উড়াল সেতু হওয়ায় মহাসড়কটির মাধ্যমে যাতায়াতের জন্য আর কোন বিড়ম্বনাই থাকছে না। কোনাবাড়ী বাসস্ট্যান্ডে সকল রকম বাস, মিনিবাস যাত্রা-বিরতি করায় বাসস্ট্যান্ড থেকে মাত্র ১০০ গজ পূর্বে অবস্থিত এ কলেজে পৌঁছানো সহজ ব্যাপার। কলেজটির লেখাপড়ার মান উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য এবং এর শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখার জন্য এখানে বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা এ দুটি বিভাগে পাঠ দান করা হয়।
কলেজের সৃষ্টিলগ্ন থেকেই এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি অঞ্চলবাসীর গভীর বিশ্বাস জন্মেছে। ধনী-গরীব, হিন্দু-মুসলিম, দূরের-কাছের, শিক্ষিত-অশিক্ষিত সকল শ্রেণির মানুষই তাদের সন্তানদের এ কলেজে পড়াতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। আমরা চাই অত্র অঞ্চল শিক্ষার আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে উঠুক- ঘরে ঘরে সুসন্তান এবং উচ্চ শিক্ষিত মানুষ গড়ে উঠুক।
আমাদের সকল শিক্ষকই উচ্চ শিক্ষিত। শিক্ষাজীবনে ভাল ফলাফল অর্জনকারীদেরই শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিশেষজ্ঞদের দ্বারা বাছাইয়ের ভিত্তিতে বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনরুপ সুপারিশ গ্রহণযোগ্য হয় না।
এ কলেজ থেকে প্রায় প্রতি বছরই এইচ এস সি পরীক্ষায় ১০০% ছাত্র-ছাত্রী পাশ করছে। প্রায় সকল ছাত্র-ছাত্রীরই এস এস সি অপেক্ষা এইচ এস সি পরীক্ষায় জিপিএ বৃদ্ধি পায়। প্রতি বছরই এ প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর বহু ছাত্র-ছাত্রী সরকারি মেডিকেল কলেজ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাষ্টায়ত্ত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। তাছাড়া ২০০৬ সালের এইচ এস সি পরীক্ষায় পাশের হারের দিক থেকে কলেজটি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সেরা ১০ কলেজের মধ্যে ৮ম স্থান এবং ২০০৭ সালের এইচ এস সি পরীক্ষায় ২য় স্থান লাভ করে।
চারদিকের এত অস্থিরতার মধ্যেও মানুষ যে আমাদের উপর আস্থা রাখছেন, এত দূরত্ব ঠেলে ছেলে-মেয়েদেরকে এ প্রতিষ্ঠানে পাঠাচ্ছেন, তাদের এ বিশ্বাসকে বাস্তবায়ন করাই আমাদের ব্রত। ভাল ছাত্র-ছাত্রী গড়ার সাথে সাথে ভাল মানুষ গড়ার প্রচেষ্টাই আমরা নিয়েছি।